নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট. গাছ শুধু অক্সিজেন বা ছায়া দেয় না কখনো কখনো হয়ে ওঠে ইতিহাসের নীরব সাক্ষী। বাগেরহাট শহরের রাস্তায়, স্কুল প্রাঙ্গণে, আর নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা হাজারো গাছ এখন শুধু সবুজের প্রতীক নয়; তারা যেন ধারণ করছে এক গণ-আন্দোলনের চেতনা। জেলা ছাত্রদলের এক অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে এই গাছগুলোই হয়ে উঠেছে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক জীবন্ত স্মারক।
রবিবার ( ২৮ সেস্টেম্বর) দুপুরে শহরের নূর মসজিদ মোড় থেকে শুরু করে পিডব্লিউডি সড়ক পর্যন্ত, এমনকি শহরের বিভিন্ন স্কুল ও নদীর ধার ঘেঁষে লাগানো প্রতিটি গাছে ঝুলছে ‘জুলাই স্মৃতি প্রতীকী নেমপ্লেট’। নেমপ্লেটে নেই কোনো স্লোগান, তবুও তা চোখে আঙুল দিয়ে মনে করিয়ে দিচ্ছে এক অটুট অঙ্গীকার: মুক্তিযুদ্ধকে যেমন বুকে ধারণ করি, ঠিক সেভাবেই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকেও স্মরণ করতে হবে।
ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের কাছে এই নেমপ্লেট শুধু স্মৃতিচারণ নয়, বরং প্রতিরোধের প্রতীক। তারা মনে করেন, প্রতিটি গাছ যতদিন থাকবে, ততদিন জুলাইয়ের সেই স্মৃতিও অটুট থাকবে। জেলা ছাত্রদল নেতা শেখ আল মামুন বলেন, “আমরা চাই নতুন প্রজন্ম শুধু ইতিহাস জানুক তাই নয়, সেটি হৃদয়ে ধারণ করুক। প্রতিটি গাছ আমাদের কাছে আন্দোলনের প্রতীক। একই সঙ্গে আমরা পরিবেশের যত্ন নিতে চাই, কারণ টিকে থাকার জন্য সবুজ রক্ষা করা জরুরি।” তিনি আরও জানান, এই কর্মসূচি মুক্তিযুদ্ধ ও গণআন্দোলনের চেতনা লালন করারই ধারাবাহিকতা।
এই কর্মসূচিতে উনস্থীত ছিলেন শেখ আল মামুন, শামিম মুন্সি, রোহিত হালদার, ইমন শেখ, জিসান, আরিফিন অরিন, শাওনসহ অনেকে। তাদের চোখে, এই গাছগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শুধু ছায়া দেবে না, শিখিয়ে যাবে প্রতিরোধ আর পরিবেশ ভালোবাসার গল্প।
জেলা ছাত্রদল নেতা শেখ আল মামুন বলেন, আমরা চাই নতুন প্রজন্ম শুধু ইতিহাস জানুক তাই নয়, সেটি হৃদয়ে ধারণ করুক। প্রতিটি গাছ আমাদের কাছে আন্দোলনের প্রতীক। এগুলো যতদিন থাকবে, ততদিন জুলাইয়ের স্মৃতিও অটুট থাকবে। একই সঙ্গে আমরা পরিবেশের যত্ন নিতে চাই, কারণ টিকে থাকার জন্য সবুজ রক্ষা করা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদল সবসময় মুক্তিযুদ্ধ ও গণআন্দোলনের চেতনা লালন করে এসেছে। এই কর্মসূচি তারই ধারাবাহিকতা। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি নেমপ্লেট তরুণদের মনে দেশপ্রেম আর দায়িত্ববোধ জাগ্রত করবে।