বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পিআর পদ্বতিসহ ৫ দফা দাবীতে বাগেরহাটে তিন ইসলামী দলের পৃথক বিক্ষোভ কর্মসুচি ১৭ বছর পর বাগেরহাটে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রামপালে মহিলাদের কর্মসংস্থানে কাজ করা হচ্ছে উঠান বৈঠকে -ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম ধর্মীয় সম্প্রীতির উৎসবে হিন্দু-মুসলিমের মিলন মেলা বাগেরহাটে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা বাগেরহাটে ডেঙ্গুতে যুবকের মৃত্যু ফকিরহাটে পানিতে ডুবে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু ফকিরহাটে ইঁদুর দমন মাসব্যাপি বিশেষ অভিযানে নেমেছে কৃষি বিভাগ চীনে নদী সম্মেলনে যাচ্ছেন বাগেরহাটের পরিবেশযোদ্ধা নূর আলম দস্যু আতঙ্ক নিয়ে দুবলার চরে শুঁটকি পল্লীতে যাচ্ছে জেলেরা

বিএনপির ৪৭ বছর : গৌরব ও আত্মত্যাগে সমুজ্জ্বল

রিপোর্টার- / ২২ পড়া হয়েছে
সময়- সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক. স্বাধীনতার পর রাজনীতির নানা প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে মেজর জিয়াউর রহমানের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে বিএনপি। উন্মুক্ত হয় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ। প্রায় চার যুগের এই পথচলায় নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে বিএনপিকে।

স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় রণাঙ্গনে সমারাস্ত্রের মহড়ায় পুরো জাতি জেনেছিল তাদের কাণ্ডারি হয়ে আসছেন একজন। তিনি মেজর জিয়াউর রহমান, যার দুচোখে স্বপ্ন ছিল স্বাধীন, স্বনির্ভর আত্মমর্যাদাশীল একটি দেশ গঠনে।পাকিস্তানি বাহিনীর ভেতরে থেকে তাদের বিরুদ্ধেই লড়াইয়ের আহ্বান জানান জিয়াউর রহমান। একাত্তার থেকে পঁচাত্তর– নানা পটপরিবর্তন, অঘটন আর বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত ছিল দেশ। দিশেহারা বাংলায় সেপাই জনতার বিপ্লবে আবারও উত্থান ঘটে জিয়াউর রহমানের। এবার যেনো স্বপ্ন বাস্তবায়নের পালা। বাকশালের বাক্সে বন্দি দেশের রাজনীতিকে মুক্ত আর শক্তিশালী একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির আকাঙ্ক্ষায় প্রথমে জাগো দল, পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন জিয়াউর রহমান।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর দলটির যাত্রা শুরু হয় দেশের রাজনীতিতে। এর মাধ্যমে খুলে যায় বহুদলীয় রাজনীতির দরজা। এর পরের চার যুগের পথ চলায় নানা উত্থান-পতন আর সংকট থেকে বারা বার ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠা দলটি দেশের ক্রান্তিলগ্নে বারবারই নেতৃত্ব দিয়েছে সামনের সারিতে থেকে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, দলটির প্রতিষ্ঠা না হলে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হত স্বপ্নের বাংলাদেশ।ফখরুল বলেন, শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা এবং শেখ মুজিবের চলে যাওয়া– সব কিছু মিলিয়ে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি কাটিয়ে তোলার জন্য আওয়ামী লীগের প্যারালাল কোনো পার্টি ওই সময় ছিল না। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে তখন মধ্যপন্থি একটা শক্তিশালী রাজনৈতিক দল খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। ওই সময় যদি বিএনপি না হত, তাহলে বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে চলে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

৪৭ বছর পরে বিএনপির সামনে চ্যালেঞ্জ কী, এমন প্রশ্নোত্তরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা আর তাদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করে যেতে চায় তার দল। সেই প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তারা।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব তিনি বলেন,গণ-অভুত্থানের মধ্য দিয়ে বাস্তবতা বেরিয়ে এসেছে। সেই বাস্তবতা মোকাবিলা করে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে নিয়েই আমাদেরকে রাজনীতি করতে হবে। দেশে শিল্প, কৃষি, সেবা খাত, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার মতো নানা চ্যালেঞ্জর কাজগুলো করতে হবে। এজন্য খুব উদ্ভাবনী বিনিয়োগ পলিসি নিয়েই আগাতে হবে। এসব বিষয়ে বিএনপি আগে থেকেই অবগত। তাই আগে থেকেই পয়েন্ট আউট করে কাজ শুরু করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ