নিজস্ব প্রতিবেদক. মোংলার পশুর নদীতে পর্যটকবাহী একটি বোট উল্টে নিখোঁজ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রিয়ানা আবজাল (২৮) নামে এক নারী পর্যটকের মরদেহ ২৪ ঘন্টায়ও উদ্ধার হয়নি। তাকে খুঁজতে বনের ঘাঘরামারি খাল ও নদীতে তল্লাশী করছে বনবিভাগ,কোস্টগার্ড ,ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্থানীয়রা । শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ রিয়ানা সাবেক পাইলট এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট ্রপ্রবাসী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদকপ্রাপ্ত ছিলেন। তাদের মূল বাড়ি বরিশালে।
নিখোঁজ রিয়ানার বাবা বিমান বাহিনীর প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, আমার মেয়েকে খুঁজতে তার স্বামীসহ আমার পরিবারের সকল সদস্য এখানে অবস্থান করছে । দ্রুতগতির একটি ছোট জাহাজের প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে আমাদের ছোট ফাইবার বোটটি উল্টে গিয়ে মেয়ে রিয়ানা নিখোঁজ হয়। তার মেয়ে নিঁখোজের জন্য দ্রুতগতির ছোট ওই জাহাজের প্রবল ঢেউ এবং রিসোটের বোট দায়ি বলে মনে করেন। তিনি আরও জানান, রিয়ানা তার স্বামী ও ভাই-বোনের পরিবার নিয়ে সুন্দরবনে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা ঢাকার উত্তরায় বসবাস করেন।
সুন্দরবনের করমজল প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, নিখোঁজ মার্কিন প্রবাসী নারী পর্যটক উদ্ধারে এখন পর্যন্ত আমরা তল্লাশী চালিয়ে যাচ্ছি।পশুর নদীতে নিখোঁজ মার্কিন প্রবাসী নারী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদকপ্রাপ্ত ছিলেন। আমরা একজন মেধাবিকে হারালাম।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী জানান, ঢাংমারী এলাকার রিসোর্ট ‘ম্যানগ্রোভ ভ্যালিতে পরিবারসহ রাত যাপন শেষে শনিবার সকালে ছোট একটি বোটে করে ১৩ জন পর্যটক করমজল পর্যটনকেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে ঢাংমারী খাল ও পশুর নদীর সংযোগস্থলে পৌঁছালে প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে বোটটি উল্টে যায়।এ সময় বোটের সবাই নদীতে পড়ে যান। কেউ সাঁতরে তীরে ওঠেন, আবার স্থানীয়দের সহায়তায় কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়। তবে রিয়ানা আবজাল নামের ওই নারী পর্যটক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।তাকে পেতে অভিযান অব্যাহত আছে ।