বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পিআর পদ্বতিসহ ৫ দফা দাবীতে বাগেরহাটে তিন ইসলামী দলের পৃথক বিক্ষোভ কর্মসুচি ১৭ বছর পর বাগেরহাটে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রামপালে মহিলাদের কর্মসংস্থানে কাজ করা হচ্ছে উঠান বৈঠকে -ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম ধর্মীয় সম্প্রীতির উৎসবে হিন্দু-মুসলিমের মিলন মেলা বাগেরহাটে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা বাগেরহাটে ডেঙ্গুতে যুবকের মৃত্যু ফকিরহাটে পানিতে ডুবে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু ফকিরহাটে ইঁদুর দমন মাসব্যাপি বিশেষ অভিযানে নেমেছে কৃষি বিভাগ চীনে নদী সম্মেলনে যাচ্ছেন বাগেরহাটের পরিবেশযোদ্ধা নূর আলম দস্যু আতঙ্ক নিয়ে দুবলার চরে শুঁটকি পল্লীতে যাচ্ছে জেলেরা

বাগেরহাটে ভেজাল ৪০ প্রকার প্রসাধনীর কারখানার সন্ধান, দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা

রিপোর্টার- / ২১ পড়া হয়েছে
সময়- বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট. বাগেরহাটের বিসিক শিল্প এলাকায় ভেজাল প্রসাধনী তৈরির কারখানা সিলগালা ও ব্যবসায়ীকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারি পরিচালক শরিফা সুলতানা এই আদেশ প্রদান করেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দলকে সাথে নিয়ে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভেজাল ফেয়ার এন্ড লাভলী, অর্গানিক হেয়ার রিমুভাল ক্রিম, ফ্লোরিয়াস লিহান রং ফর্সাকারী ক্রিম, অর্গানিক হারবাল হেয়ার টনিক, গুলাবাড়ি, মিস এন্ড মিসেস বুস্টার, লাভ ইন বিউটি ক্রীম, স্পট আউট স্কিন ক্রিম, হিড কুল অয়েল, হানি এ্যান্ড এলমন্ড স্ক্রিন ময়েশ্চারাইজিং, লিহন গিলিসারিন, রোজ ওয়াটার, মোড়ক ছাড়া সাবান, তৈরির প্রমান পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরণের পন্যের মোড়ক পাওয়া যায়। মাত্র তিনটি পন্যের অনুমতি নিয়ে তিনি মিজানুর রহমান নামের ওই ব্যবসায়ী এসব ভেজাল পন্য তৈরি করছিলেন। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া পন্য মোড়কজাতকরণ ও ভেজাল পন্য তৈরির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। ভেজাল পন্যগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। পন্যের গুনগত মান নিশ্চিত ও ভেজাল রোধে ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারি পরিচালক শরিফা সুলতানা।

বিসিক সূত্রে জানাযায়, অলিফ কুমার নামের এক ব্যবসায়ী টিনের ফ্যাক্টরী হিসেবে বিসিকের ওই প্লটটি ইজারা নিয়েছিলেন। তিনি ওই প্রসাধনী ব্যবসায়ীকে ভাড়া দিয়েছিলেন। তবে অভিযানের সময় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে পায়নি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। সেখানে দুইজন মাত্র কর্মচারী ছিলেন, অন্য শ্রমিক বা কর্মচারীরা অভিযানের টের পেয়ে পালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিসিকের প্রমোশন কর্মকর্তা মোঃ শরীফ সরদার বলেন, বিএসটিআই এর অনুমোদিত পণ্য ছাড়াও বেশ কিছু অননুমোদিত পণ্য তৈরি করছিল প্রতিষ্ঠানটি। প্রশাসন ও আমাদের কাছে তথ্য ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালায়ে সন্ধান পাওয়া যায়। আমি আশা করছি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের এমন অভিযান চলমান থাকবে এবং সুস্থ থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করবে। এমন অভিযান আশেপাশে অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে তারা শিক্ষা গ্রহণ করবে।ভবিষ্যতে বিসিকে কেউ যাতে ভেজাল ও মানহীন পণ্য উৎপাদন না করতে পারে সেজন্য নজরদারি করা হবে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ