নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-শরণখোলা-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ১৬ কিলোমিটার অংশের বেহাল দশায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন চলাচলকারীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আমড়াগাছিয়া কাঠেরপুল থেকে তাফালবাড়ী শাম বেপারীর বাড়ি ব্রিজ পর্যন্ত অংশটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০টিরও বেশি দূরপাল্লার বাস ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বেনাপোল রুটে চলাচল করে। পাশাপাশি অসংখ্য পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ ও স্থানীয় পরিবহন যাতায়াত করে। খানাখন্দে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে চালকদের।সড়কটি মোট ৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে ২৪ ফুট প্রশস্ত ১৯ কিলোমিটার, ১৮ ফুট প্রশস্ত ১৭ কিলোমিটার এবং ১২ ফুট প্রশস্ত ১৭ কিলোমিটার। কিন্তু সরু এবং ভাঙাচোরা রাস্তায় চলাচল অনিরাপদ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন চালকরা।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এ সড়কে চলাচল দুরূহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় খানাখন্দে পানি জমে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। দ্রুত প্রশস্তকরণ ও সংস্কারের দাবি জানাই।
দূরপাল্লা বাসের চালক তাইজুল বলেন, বড় বড় গর্তে গাড়ির চাকা আটকে যায়, সাইড দিতে গিয়ে গাছের ডালে বাসের ছাদ বেধে যায়। এছাড়া গাড়ীর যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়। এক কথায় সড়কে যানবাহন নিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
শরণখোলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন মিলন বলেন, “সুন্দরবনে দর্শনার্থীদের আগমনের মৌসুম শুরু হওয়ার আগে এ সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত করা জরুরি। তা না হলে পর্যটকদের ভোগান্তি বাড়বে। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
প্রবাসী জামাল নুর বলেন, সড়কে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একদিকে গাড়ীর যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। নামে আঞ্চলিক মহাসড়ক, কাজে না। দ্রুত সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত করার জন্য সকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদিপ্ত কুমার সিংহ বলেন, “সড়কের বেহাল দশার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে গতানুগতিক আশ্বাস দেন।”
বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন,“দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে শীঘ্রই সড়ক সংস্কার ও প্রশস্তকরণের কাজ করা হবে।