বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পিআর পদ্বতিসহ ৫ দফা দাবীতে বাগেরহাটে তিন ইসলামী দলের পৃথক বিক্ষোভ কর্মসুচি ১৭ বছর পর বাগেরহাটে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রামপালে মহিলাদের কর্মসংস্থানে কাজ করা হচ্ছে উঠান বৈঠকে -ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম ধর্মীয় সম্প্রীতির উৎসবে হিন্দু-মুসলিমের মিলন মেলা বাগেরহাটে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা বাগেরহাটে ডেঙ্গুতে যুবকের মৃত্যু ফকিরহাটে পানিতে ডুবে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু ফকিরহাটে ইঁদুর দমন মাসব্যাপি বিশেষ অভিযানে নেমেছে কৃষি বিভাগ চীনে নদী সম্মেলনে যাচ্ছেন বাগেরহাটের পরিবেশযোদ্ধা নূর আলম দস্যু আতঙ্ক নিয়ে দুবলার চরে শুঁটকি পল্লীতে যাচ্ছে জেলেরা

চারটি সংসদীয় আসন পুনবর্হালের দাবিতে বাগেরহাটে বিক্ষোভ মিছিল

রিপোর্টার- / ১৬ পড়া হয়েছে
সময়- মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন পুনবর্হালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। মঙ্গলবার বেলা বারোটায় খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের শহরের দশানী ট্রাফিক মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি মহাসড়ক হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন কোর্ট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে নতুন কোর্টের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।গত শনিবার সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি হরতালসহ পাঁচদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। সোমবার জেলাজুড়ে হরতাল পালিত হয়। আগামীকাল থেকে বুধ ও বৃহষ্পতিবার টানা ৪৮ ঘন্টার হরতালের কর্মসূচি দিয়েছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সমন্বয়ক এম এ সালাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম, সেক্রেটারী শেখ মোহাম্মদ ইউনুসসহ নেতৃবৃন্দ।তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন জনগনের মতামত উপেক্ষা করে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে কমিয়ে তিনটি করেছে। যা বাগেরহাটবাসী মেনে নিতে পারেনি। বাধ্য হয়ে আমরা হরতালসহ নানা কর্মসূচি পালন করছি। নির্বাচন কমিশন দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বুধ ও বৃহষ্পতিবারের টানা ৪৮ ঘন্টার হরতাল পালন করতে বাগেরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে বিদায় করে দাবি আদায়ের ঘোষনা দেন জেলা বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতা।

গেল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখারদাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনইজারি রেখে চুড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গন মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।

চুড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ ( বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা)ও বাগেরহাট-৩(কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।১৯৬৯ সাল থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২(বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ