নিজস্ব প্রতিবেদক. পিআর পদ্বতিসহ ৫’দফা দাবিতে বাগেরহাটে তিনটি ইসলামী দল পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে শহরের বিভিন্ন স্থানে এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশ জমায়েত ইসলাম বাগেরহাট জেলা শাখা রেলরোড এলাকায় সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রেলরোড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আমীর মাওলানা মো. রেজাউল করিম, জেলা সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য মাওলানা মো. মশিউর রহমান, নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, শিক্ষা সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম, যুব বিভাগের প্রধান মনজুরুল হক রাহাদসহ আরও অনেক নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ জামাত ইসলামের জেলা আমীর মাওলানা রেজাউল করিম বলেন,আমরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে না দিলে, দেশের ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করার চেষ্টা অব্যাহত থাকলে, এই আন্দোলন আরও বিস্তৃত হবে। জনগণ এখন পরিবর্তন চায়, ন্যায়বিচার চায়, সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
এদিকে একই দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা ন্যায্য দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছি। সরকারের দায়িত্ব হলো জনগণের কথা শোনা, না হলে জনগণ রাস্তায় নামবে। নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ না দিলে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ সম্ভব নয়।

অন্যদিকে, ৬ দফা দাবীতে শহরের মিঠাপুকুরপাড় জেলা কার্যালয়ের সামনে খেলাফত মজলিস বাগেরহাট জেলা শাখা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে সংগঠনের জেলা সেক্রেটারি ড. মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি—দাবি আদায় না হলে আমরা কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না। দেশজুড়ে যে অন্যায়, দমননীতি ও গণহত্যা চলছে, তার বিচার না হলে জনগণ রাস্তায়ই রায় দেবে।
তিনি আরও বলেন,আগস্টের হত্যাযজ্ঞের বিচার এখনো হয়নি। যারা এই অন্যায়ের দায়ী, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ইসলাম ও জনগণের অধিকার রক্ষার লড়াই আমরা চালিয়ে যাব।দফা গুলো হলো, অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ ও এর আইনি ভিত্তি প্রদান। সংসদের উচ্চকক্ষে পিয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও দোসরদের অপরাধের বিচার দৃশ্যমান করা। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত। নির্বাচনের সবার জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরি। সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ।